Nancy Pelosi visits Taiwan, protests outside hotel

গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তবে তাঁর এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন দেননি।

রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে, পেলোসির সফর উসকানিমূলক এবং তা এ অঞ্চলের জন্য অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে।
তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর টুইট করে পেলোসি বলেন, তাঁর প্রতিনিধিদলের সফর ‘তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের’ প্রতি আমেরিকার অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।

পেলোসি লিখেছেন, তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি আজ আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর সফর কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতির বিরোধিতা করে না।

পেলোসি তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে রাত কাটাবেন। তাঁর সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করছেন।

তাইওয়ানের গণমাধ্যম বলছে, আগামীকাল সকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ন্যান্সি পেলোসি। এরপর তিনি তাইওয়ানের পার্লামেন্টে যাবেন। এ ছাড়া তিনি মানবাধিকার জাদুঘরেও যাবেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের তীব্র নিন্দা করেছে এবং একে এক চীন নীতির গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, এই সফর চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
দীর্ঘদিনের ‘শত্রু’ পেলোসির এই সফর নিয়ে অনেক গা-জ্বলা রয়েছে চীনের। কারণ, তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড মনে করে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ানের মানুষ নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দেখেন। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

চীন বলে আসছিল, পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। আর সেটার মূল্যও চুকাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছিলেন, পেলোসির সফরের দায় যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে এবং চীনের সার্বভৌম নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য মূল্য দিতে হবে। সামরিক উপায়ে এর জবাব দেওয়ারও হুমকি দেয় বেইজিং। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘আগুন নিয়ে খেলার’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি যদি তাইওয়ান সফর করেন, তাহলে এর রাজনৈতিক পরিণতি হবে গুরুতর। তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের যেকোনোবারের চেয়ে এবারের হুমকি হবে কঠোর।

image_pdfimage_print