মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা: মামলার এজাহারে যা বললেন গৃহকর্তা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন গৃহকর্মীকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতে এ মামলা করা হয়। তবে হত্যায় জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা সমকালকে বলেন, নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। স্ত্রী-কন্যাকে হত্যার জন্য তিনি গৃহকর্মীকে সন্দেহ করেছেন। মেয়েটি নিজের নাম বলেছিল আয়েশা। তাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

আমার বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার সকাল আনুমানিক ৭টার সময় আমি আমার কর্মস্থল উত্তরায় চলে যাই। আমি আমার কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে আমি বেলা ১১টার সময় বাসায় এসে দেখতে পাই, আমার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং আমার মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। মেয়েকে উদ্ধার করে পরিছন্নকর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার মেয়ের একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী (সঠিক পরিমাণ বলতে পারেননি) খোয়া গেছে।

image_pdfimage_print