খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কোনোভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না। অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ জোরদার করার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চাল আমদানি করা হবে। ২৫ শতাংশ করারোপ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শিগগিরই নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক কৃষক অনেক আগেই ধান বিক্রি করে দিয়েছে। মিলমালিকরা বলছেন, অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃষক নয় এমন অনেকেই ধান মজুদ করছেন। কেউ যদি অবৈধ মজুদ করে থাকেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ‘দেশের সামগ্রিক খাদ্যশস্যের ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষক ধানের নায্যমূল্য পেয়েছে। আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে প্রকৃত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না
প্রতিনিয়ত কৃষি জমি কমছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি চাল সংগ্রহ বন্ধ না করে এর পাশপাশি যেসব দেশে চালের দাম কম সেখান থেকে চাল আমদানি করে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, খাদ্য চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে বেশি আমদানি কৃষকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে আবার কম আমদানি ভোক্তার জন্য কষ্টের কারণ হতে পারে। এ সময় তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশ আমাদের, কৃষির পাশপাশি শিল্প-কারখানা বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি বিশ্বাস, কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।