কক্সবাজারের পেকুয়ায় নির্বাচনবিরোধী মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন– উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, যুবদল নেতা জয়নাল, ছাত্রদল নেতা রিফাত, তাহিনুল করিম ও মো. সাকিব। তাদের মধ্যে জয়নাল ও রিফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার উপজেলার সিকদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন নির্বাচনবিরোধী মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়লে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হন।
স্থানীয়রা বিএনপির গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীকে উদ্ধার করে পেকুয়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মুজিবুর রহমান। তিনি সমকালকে জানান, গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে জয়নাল ও রিফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আজাদ জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনবিরোধী মিছিল করছিলেন। পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি মো. ইলিয়াছ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছুড়েছে। তিনি জানান, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা দুই ম্যাজিস্ট্রেট– রুম্পা ঘোষ ও বদরুদ্দোজা তাদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশে তারা গুলি চালিয়েছে।
এর আগে দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা।