জাতীয় সংসদে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরীকৃত অর্থের অধিক ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা প্রদান ও ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়েছে।
নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল-২০২১ পাসের মধ্য দিয়ে এ বাজেট পাস করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করে পাসের প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়।
চলতি অর্থ বছরে মূল বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা। আর ২৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা। এ অর্থ হ্রাস-বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়ায় ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮৩ কোটি টাকা।
বিল পাসের আগে বিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দাবিসহ ১৯টি মঞ্জুরি দাবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সংসদে উপস্থাপন করলে পৃথক পৃথকভাবে পাস করা হয়। এ সব দাবির ওপর বিরোধীদলের সদস্যরা মোট ১৯০টি ছাটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দুটি দাবির ওপর আলোচনা হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, বেগম রওশন আরা মান্নান, এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন ও রুমীন ফারহানা।এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও সরকারি দলের আমির হোসেন আমু। এরপর অর্থমন্ত্রী আ, হ, ম মুস্তফা কামাল সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য দেন।