‘গরিব ছাত্রদের ব্যবহার করে হেফাজত নেতারা বিপুল সম্পত্তির মালিক’

মাদ্রাসার এতিম ও গরিব ছাত্রদের নামে আসা অর্থ সহায়তা আত্মসাত করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন হেফাজতের নেতারা। বিদেশ থেকে আসা অনুদানের টাকা খরচ করেছেন নিজেদের ভোগ বিলাসে। অভিযোগ আছে মাদ্রাসা দখলেরও। রিমাণ্ডে থাকা হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা; যা দখলের অভিযোগ হেফাজতের বিতর্কিত নেতা মামুনুল হক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মামুনুল এবং তার পরিবারের ২০ সদস্য মাদ্রাসাটিতে শিক্ষকতা করছেন। পুরনো অনেক শিক্ষককে বিতাড়িত করে নিজেদের পছন্দমত লোক নিয়োগ করে অনেকটা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে মাদ্রাসাটিকে।

রিমাণ্ডে থাকা হেফাজত নেতারা এটির মতো আরো অনেক মাদ্রাসা দখলের কথা স্বীকার করেছে, বলছে পুলিশ। ডিএমপি’র মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানান, ‘মাদ্রাসা দখলের মত অপকর্মও হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হয়েছে মাদ্রাসাটা দখল হয়েছে, সেটার প্রমাণও আছে। বহু সাক্ষ্য প্রমাণ ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি।’

মাদ্রাসার গরিব ছাত্রদের ব্যবহার করে হেফাজত নেতাদের অর্থ সম্পত্তির মালিক হওয়ার তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। মাহবুবুর রহমান আরো জানান, ‘যদিও মাদ্রাসার ছাত্ররা এতিম, নিরীহ ও অসহায়। তাদেরকে পুঁজি করে হেফাজত নেতারা বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি ইতিমধ্যে তারা গড়েছেন। অনেকেই নারীবিলাসের মত ঘটনায় জড়িত হয়েছেন।’

সাম্প্রতিক আন্দোলনে হেফাজতের বাইরে কেউ অর্থ দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জিজ্ঞাসাবাদকারী গোয়েন্দা পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার আরো বলেন, ‘তারা বলেছেন বাইরে থেকে কিছু অর্থ আসে, প্রবাস থেকে বেশকিছুু ফান্ড তাদের কাছে আসে বলে তারা জানিয়েছে।’

নাশকতায় সংশ্লিষ্ট ও ইন্ধনদাতাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এই উগ্রবাদের যারা জড়িত তাদের নাম আমরা বের করার চেষ্টা করছি। সে অনুুযায়ী আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। আরো কিছু গ্রেপ্তার সামনে হবে।’