কণ্ঠশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে জানান দিয়েছেন, তিনি ‘সম্ভবত’ বাবা হতে যাচ্ছেন। নোবেলের সম্ভাব্য বাবা হতে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করে। ভারতীয় গণমাধ্যমও এই সংবাদ প্রকাশ করে। তবে নোবেলের এই দাবিকে নাকচ করে দেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি প্রেগন্যান্ট নই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নোবেল শুক্রবার ফের নিজের বক্তব্য ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
নোবেল বলেন, ‘মাতৃত্ব কেবলমাত্র একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের এবং খুব গর্বের একটি বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা কিন্তু সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে। আমার স্ত্রী, সালসাবিল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করেন এবং তার ফলে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভাব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? আপনি বাবা হওয়ার ইঙ্গিত পেলে নিজে কী করতেন বলুন? আমি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়ার খুশি ধরে রাখতে পারিনি।’
তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে দাবি করে নোবেল বলেন, ‘স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী, সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা ‘এবর্শন’ করে ফেলবে- এই হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তাঁর বাচ্চার বাবা হওয়ার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালান্স এই মুহূর্তে একটু কম। যেহেতু আমাদের শিল্পীদের গত বছরের মার্চ থেকে ‘লাইভ কনসার্ট’ বন্ধ। তা ছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনোভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবে না। এমনকি আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সম্ভাব্য শিশুটিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এমন আশঙ্কাও নোবেল প্রকাশ করেছেন। নোবেল বলেন, যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্ট্যাটাসটি দিই। মেডিক্যাল টেস্ট করালে হয়তো পজিটিভই আসত। তবে জানি না এতক্ষণে আমার সম্ভাব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি ‘পিল’ খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেশতাটি পৃথিবীর আলো দেখত, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।
স্ত্রী নিজেই বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক- এমন দাবি করে নোবেল বলেন, আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই জানি না। কোথায় থাকে, কার সঙ্গে থাকে, কী করে, কী পরে, কী খায়? কিছুই জানি না। এই ১.৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী খুব অল্প সময়ই ছিল। কারণ সে তার পড়ালেখা এবং তার বাবা-নানু-খালা-বোনদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সংসারটা এখনো আমার করা হয়নি। হয়তো হবে একদিন। আমাদের সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছে, সে বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেন আজ এই কাদা ছোড়াছুড়ি। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রচার করার জন্য। ধন্যবাদ।