৯টি ইউনিয়নে বসবাসকারী সাড়ে ৩ লাখ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়নের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে এখানে একটি থানা প্রশাসন থাকলেও নেই স্বাস্থ্যসেবায় একটি সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেই একটি ফায়ার সার্ভিস, খেলাধূলার জন্য নেই কোনো স্টেডিয়াম, নেই সরকারি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ। যার ফলে এসব ইউনিয়নের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য যেতে হয় ২০ কিলোমিটার দূরে জেলার সদর হাসপাতালে এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জনে যেতে হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২ ২০টি তফসিলি ব্যাংক আছে, রয়েছে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী দুই জেলার মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ হাইওয়ে থানা, ৪টি এমপিওভূক্ত বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় (অনার্স), ব্যবসায়ীক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে অন্তত ১০টি বড় বাজার রয়েছে। এসব বা০১৪ সালের ২ জুন তারিখে লক্ষ্মীপুর সদর থানা থেকে পৃথক করে চন্দ্রগঞ্জ থানা নামে একটি পূর্ণাঙ্গ থানা অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। এরপর থেকেই এখানে উপজেলা বাস্তবায়নের দাবি ওঠে জোরেশোরে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই থানা এলাকার ৯টি ইউনিয়ন একসময় সন্ত্রাসের জনপদ খ্যাত হিসেবে পরিচিত ছিল। থানা হওয়ার পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও সাঁড়াশি অভিযানে সন্ত্রাসের কবল থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পেলেও জীবন মানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ, উপজেলা বাস্তবায়নের মত এখানে অনেক অবকাঠামো বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই এখানে একটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস চলমান রয়েছে। থানা শহরে বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি অন্ততজার থেকে প্রতিবছর ইজারা বাবত অন্তত ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।