আনোয়ার হোসেন:
ঐতিহাসিক রামপুর মাহফিলের দ্বিতীয় দিন আজ৷ রূপাচরা জামে মসজিদের খতিব ও রামপুর হেমায়েতে ইসলাম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসানের ইমামতিতে জুমার নামাজ আদায় করলো লাখো মুসল্লি৷
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন রামপুর হুজুরের বাড়িতে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল গত বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে। ঐতিহাসিক এই মাহফিল হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি আব্দুল গণি (রহঃ) ১৯৪২ (বাংলা ১৩৪৮) সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হালকায়ে জিকিরের মাধ্যমে আজকের এ মাহফিলের সূচনা করেন।
তিনি ১২৮৫ বাংলা সনের ৫ই পৌষ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের মুন্সিমিয়া সাহেবের বাড়িতে আব্দুল ওয়াহাবের উরশে এক শুভাক্ষণে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের সঠিক শিক্ষা সকলের কাছে তুলে ধরতে এবং দ্বীনি কার্যক্রম চালু রাখতে এ মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি।
তাঁর এই দ্বীনি কর্মের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন অল্প সময়ের মধ্যে। হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি আব্দুল গণি (রহঃ) পৃথীবি থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাঁর সুযোগ্য সন্তান হযরত মাওলানা নুরুল হুদা (রহঃ), অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম (রহঃ) এবং হযরত মাওলানা নুরুল আমিন ছাহেব মাহফিলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য বংশধর মুফতী নাজমুদ্দিন শামীম মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছেন। হযরত মাওলানা নুরুল আমিন ছাহেব -এর ছেলে নাজমুদ্দিন শামীম জানান, ঐতিহাসিক এই মাহফিল গত ৭০ বছর ধরে বাংলা ফাল্গুণ মাসের এক, দুই, তিন তারিখে এবং পবিত্র রমজান মাসে তারিখ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতো কিন্তু ২০১২ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবিদের কথা চিন্তা করে ফল্গুণ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার, শুক্র এবং শনিবার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মাহফিলে আগত মুসল্লীদের জন্য সকালে এবং রাতে তবারকের সু-ব্যবস্থা রয়েছে৷ রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ঐতিহাসিক এই মাহফিল৷