অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার সুযোগ দিতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার। গোটা একটি স্টেডিয়ামকে রূপ দেয়া হয়েছে ফ্যান জোনে। যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে একসাথে খেলা দেখছেন বহু মানুষ। বিশ্বকাপ আয়োজনে দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের উপহার হিসেবে শ্রমিকদের জন্য নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।
রোববার (২০ নভেম্বর) কাতারকে সমর্থন জানিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যান জোনে উদ্বোধনী ম্যাচ উপভোগ করেন হাজারো নির্মাণকর্মী। দোহা থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আল-বিদা পার্ককে রূপ দেয়া হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যান জোনে। যেখানে একসাথে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে পারেন হাজার হাজার মানুষ।
কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম তৈরিতে, মাসের পর মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেছেন শ্রমিকরা। এবার উদযাপনের সময়। রোববার ফ্যান জোনে ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর উদ্বোধনী ম্যাচ উপভোগ করেন শ্রমিকরা।
সরাসরি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে হলে গুনতে হবে ২শ’ ডলারের বেশি। যা নির্মাণ শ্রমিকদের সামর্থের বাইরে। আর সেজন্যই এই বিশেষ ফ্যান জোনের ব্যবস্থা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পর উদযাপনের সুযোগ। তাই উচ্ছ্বাসটাও বাধভাঙা। এ সময় ছবি তুলে বিশেষ মুহূর্তটিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। ভিডিও কলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন প্রিয়জনের সঙ্গে। নেচে গেয়ে চলে উদযাপন।
ইকুয়েডর-কাতার ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিকদের প্রতি সমর্থন ছিল অভিবাসী নির্মাণ যোদ্ধাদের। স্টেডিয়াম ছাড়াও কাতারের বিভিন্ন শহরে, নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের বসবাস, এমন এলাকাগুলোয় লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন।
প্রসঙ্গত, গ্যাস সমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতারের ২৯ লাখ মানুষের বড় অংশই অভিবাসী কর্মী। নিম্ন আয়ের শ্রমিক থেকে উচ্চ বেতনভুক্ত নির্বাহী পদেও আছেন বিদেশিরা। নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের অধিকার ও প্রাপ্ত সুযোগসুবিধা নিয়ে বহুবার প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
তবে, কাতার সরকারের দাবি, তারা দেশটির শ্রম আইনে পরিবর্তন এনেছে। ন্যুনতম মজুরি ১ হাজার কাতারি রিয়াল বা ২৭৫ ডলার।