ভোটের মাঠেও সাড়া জাগাতে পারলেন না বিএনএম প্রার্থী

পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনাবাসীর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘নোঙ্গর’ মার্কায় ভোট চেয়ে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা, আমদানি
বিকল্প কৃষিনীতি চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। রেকর্ড করা প্রচারের কণ্ঠদাতা বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনা) আসনের প্রার্থী ড. মো. আবদুর রহমান। বিএনপির সাবেক এমপি
আবদুর রহমান ২০২১ সালে আত্মপ্রকাশ হওয়া জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন।
সংগঠিত অনেক রাজনৈতিক দলকে পেছনে ফেলে বিএনএম গত আগস্টে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ায় ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আলোচনায় আসে। ধারণা করা হচ্ছিল, বিএনপির অনেক নেতাকে ভাগিয়ে এনে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করাবেন। তবে এতে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনএম নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলো ছড়াতে পারেনি। ভোটের আগে বিএনপি ছেড়ে আসা আরেক সাবেক এমপি শাহ মো. আবু জাফরকে দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করায় পদ হারান প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আবদুর রহমান। তিনি নিজের এলাকায় ভোটের মাঠেও সাড়া জাগাতে পারলেন না। কয়েকজন নিকটাত্মীয় তাঁর প্রচারণার সঙ্গী।
আবদুর রহমান ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে এমপি হয়েছিলেন। একই বছর ১২ জুন সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ১৮ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন। বেতাগী ডিগ্রি কলেজের এই শিক্ষক ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি। পরবর্তী সময়ে বেতাগী ছেড়ে রাজধানীতে বসবাসকারী ড. রহমান বর্তমানে প্রাইম ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও ডিন।

সরকারের আনুকূল্যে আরেকবার এমপি হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বিএনএম গঠন করে গত বছরের মাঝামাঝি নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। নিজের সংসদীয় আসনের তিন উপজেলায় দলের তিনটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছিলেন। যদিও আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ পদধারীরা স্থানীয় রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত নন।
কিংস পার্টির শীর্ষ নেতা হয়েও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আনুকূল্য পাননি আবদুর রহমান। বরগুনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের এমপি নাদিরা সুলতানা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোট সাত প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া পরিচিত প্রার্থী নোঙ্গর প্রতীকের আবদুর রহমান। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নৌকার ধারেকাছেও নেই তিনি।
স্থানীয়রা জানান, নেতাকর্মী সংকটে থাকা ড. রহমানের গণসংযোগের সঙ্গী হলেন চাচা শ্বশুর মনোয়ার হোসেন, চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন, বেতাগী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার মধু এবং পৌর বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক ভাগনে এনামুল হক দুলাল।