বেলা সাড়ে ১১টা। ভোটকক্ষের সামনে একজন আনসার সদস্য চুলা ধরিয়ে রান্না বসিয়েছেন। তাঁকে সহায়তা করছেন তিনজন। মাঝেমধ্যে এসে রান্নার তদারকি করছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রজুড়ে একজনও ভোটার নেই। চারদিকে সুনসান নীরবতা। এ চিত্র নীলফামারী-৩ আসনের জলঢাকার বগুলাগাড়ী বারোঘরিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। অলস সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ২৮৪ ভোটার। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ১১৪টি।
কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ১ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন একজন পুলিশ ও একজন আনসার। চারজন আনসার সদস্য খাসির মাংস ও ডিম কিনতে বাজারে গেছেন। রান্নার কাজে ব্যস্ত আরও চারজন নারী আনসার। মনে হচ্ছিল এটি কোনো ভোটকেন্দ্র নয়, যেন পিকনিক স্পট।
রান্নার কাজে ব্যস্ত আনসার সদস্য শেফালী রানী বলেন, ‘দুপুরের খাওনের বাদে অ্যাইলা আন্না (রান্না) করছো বাহে। স্যারেরা কইছে আন্দিবার। আনসার ভাইয়েরা বাজার থেকি খাসির মাংস, ডিম ও সবজি আনি গেইছে।’
কথা হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রামপ্রসাদ বলেন, ভোটারের উপস্থিতি কম। তাই দুপুরে খাওয়ার জন্য সবাই টাকা দিয়ে রান্নার আয়োজন করেছে। এটা নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা তা বলতে পারেননি তিনি। এক পর্যায় দুঃখ প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ভোটকেন্দ্রে যে কোনো সময় বিশৃঙ্খলা হতে পারে। সেখানে এভাবে রান্নার আয়োজন ঠিক হয়নি। এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।