সিরিয়া-তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। তবে যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। এর চেয়েও বড় কথা, প্রাণ হাতে নিয়ে যারা ফিরেছেন তীব্র ঠান্ডায় অস্বাস্থ্যকর আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জীবিত তুর্কি-সিরীয়রা তীব্র ঠান্ডা আর হাইপোথার্মিয়ার মতো ঝুঁকির সাথে লড়ছেন। এ বিপর্যয়ের মধ্যে সংক্রামক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব তেদ্রোস আধানম বলেন, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করছে। পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়ার সাথে লড়াই আর মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এরমাঝেও, সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ঠাসাঠাসি অবস্থা, পর্যাপ্ত সুবিধাও নেই।
এ পরিস্থিতিতে গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না পেলে, আগামী তিন মাসের মধ্যে বড় সংকটে পড়বে দুর্গত এলাকাগুলো।
ইউএনএফপিএ এর আঞ্চলিক পরিচালক লায়লা বাকের বলেন, দুর্গত এলাকায় ৪০ হাজারের বেশি নারী অন্তঃস্বত্ত্বা। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের সন্তান প্রসব করার কথা। কিন্তু ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে হাসপাতাল-চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র। যেখানে ন্যূনতম জ্বর-কাশি সারাইয়ের ওষুধও নেই, সেখানে অস্ত্রোপচারের কথা মাথায় আনাটাই হাস্যকর। সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘ ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মতো তহবিল চেয়েছে। সেটাও মাত্র তিনমাসের জন্য। মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দাতাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।