‘বাসায় মদের খালি বোতল দেইখাই চরিত্র বুইঝা ফেলেন?’

সম্প্রতি রাজধানীর বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করে আলোচনায় আসেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনি। গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘স্যরি’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘বাসার মধ্যে মদের খালি বোতলের শোপিস দেইখা চরিত্র বুইঝা ফেলেন কেমনে বলেন তো? বাসায় তো জায়নামাজ, কোরআন আর নামাজের ঘর আছে, সেটা কেন দেখতে পাইলেন না আপনে?’

সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকা ও টেলিভিশনে পরীমনির বাসায় মদের বার নিয়ে ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্যাটাসে তিনি কোনো একজনকে উদ্দেশ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

পরীমনি তার স্ট্যাটাসে আরো লেখেন :‘সমস্যা হইলো …আমি মাইয়া লোক, কিন্তু লুতুপুতু মাইয়া টাইপ আচরণ করি নাই আপনার সাথে, ঘইটা গেল সমস্যা! চিকন সুরে ভাইয়া ভাইয়া করি নাই আপনারে, বিশাল সমস্যা! কাজের ফাঁকে আলগা …পিরিতের আলাপ করি নাই, ব্যাস এইতো সমস্যা! কাজে মতপ্রকাশের অধিকার দেখাইছি, তাতেই সমস্যা! আপনার চোক্ষের সামনে আরো ৫-১০ জনের মতো না হারাইয়া যাইয়া দিন দিন ক্যারিয়ার বানাইতেছি, নাম কামাইতেছি…এইখানে হইয়া গেল সমস্যা! আপনি পরিচালক হইয়া ৫ বছরে একটা সিনেমা বানান আর আমার এক বছরে ৫ সিনেমা রিলিজ হয়, আমার তো প্রচুর সমস্যা! আপনারে প্রযোজক বাগাইতে দিলাম না, ওরে সমস্যা! শুটিং সেটে উহ্ আহ্ করা দামরা ধইরা নগদে থাপড়াই, চরম সমস্যা! কোনরকম চামচামি না কইরা আপনার মুখের ওপরে তিতা সত্য বইলা দেই, আমারই তো সমস্যা! তারপর তো বিড়ি খাওয়া, মদ খাওয়া, প্রেম করা, বিদেশে ইচ্ছামতো ঘুরতে যাওয়া, ….গালিটালি দেওয়া, পিরিয়ড নিয়া কথা বলা এইগুলা তো আছেই! পাইছেন কই এইগুলা? আমিই তো দিছি। আপনাদের মন ভরে না কেন বলেন তো? টুপ কইরা কথায় কথায় চরিত্র হাতাইতে আসেন! আহারে একটু জিরান এইবার। ক্ষমা দেন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখেন! অপরাধীকে অপরাধী বলতে শিখেন। একটা ন্যায়ের জন্যে লড়াইয়ের সাথে থাকেন। না পারলে ….হিংসাত্মক আক্রমণ কইরেন না প্লিজ।’

পরীমনি তার ‘স্মৃতি পরীমনি’ ফেসবুক আইডিতেও আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘মিটিং করতে গিয়ে, গ্রুপ স্টাডি করতে গিয়ে, আড্ডা দিতে গিয়ে, কাজে কিংবা অকাজে গিয়ে, প্রেম করতে গিয়ে এমনকি …. হলেও যদি কেউ ধর্ষিত হয় তবে ধর্ষণের জন্য একমাত্র ধর্ষকই দায়ী।’

 

এদিকে বোট ক্লাবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বোট ক্লাবে পরীমনির সঙ্গে ছিলেন তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, বন্ধু অমি ও এক তরুণী। এ সময় ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট ও কালচারাল সম্পাদক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, নাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন। পুলিশ নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়েছে।