পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে অভিযান চালিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কমপক্ষে ২৮৫ সমর্থক ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পিটিআইয়ের দাবি, পুলিশ তাদের কর্মীদের ওপর অযৌক্তিক নির্যাতন শুরু করেছে।
সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি লাহোরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআই এর যে কর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে তারা। পিটিআই বলেছে, পুলিশ তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন শুরু করেছে।
রাতের আধাঁরে দলের সব গুরুত্বপূর্ণ নেতার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি। তবে পুলিশ বলছে, দলটির নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা হয়েছে, তাই অভিযান চলমান রয়েছে।
পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি বলেছেন, ইসলামাবাদ ও লাহোর থেকে আমাদের প্রায় ২৮৫ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) রাতে পুলিশ পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়িতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে।
লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল কামিয়ানা বলেন, দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা হয়েছে। এ কারণে পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। লাহোর থেকে মোট ১২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্র জানান, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত ১৯৮ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
গত সপ্তাহে আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে তার লাহোরের বাসভবনে যায় পুলিশ। কিন্তু দলনেতার বাড়ি ঘিরে রাখা পিটিআই কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেয় ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে শনিবার ইমরান খান ইসলামাবাদের আদালতের হাজির হওয়ার সময়ও তার কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শনিবারের ওই সংঘর্ষে ৫৮ জন আহত ও পুলিশের কয়েকটি গাড়িসহ এক ডজনেরও বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।