এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ, তারা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করে, সে জন্য নানা ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ফেলেছে।
‘এ নিয়ে জনগণ যখন তাদের ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তাদের মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণেই তারা নানা ধরনের আবোল-তাবোল কথা বলছে। মির্জা ফখরুল সকালে একবার বলেন, বিকেলে আরেকবার বলেন, গয়েশ্বর বাবু রাতের কথা দিনে বলেন’—বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, সারা দেশে বিএনপি আবার নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে সন্ত্রাস, দেশের অন্যান্য জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড—এগুলো দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা।
বিএনপির এমন কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ যেহেতু রাষ্ট্রক্ষমতায়, জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সেহেতু আমাদের দলের নেতা–কর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে না পারে। ২০১৩–১৪-১৫ সালে বিএনপি যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, সেটি যাতে না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা তাদের সতর্ক করেছি।’
‘বিএনপি এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে’—এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিদায় ঘণ্টা তো তারা ২০০৯ সাল থেকেই বাজাচ্ছে। যতই ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ততই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। নিজেদের বিদায় ঘণ্টাই বাজিয়ে দিয়েছে।’
এ সময় তিস্তা নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। এর উত্তরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২১০০ সালকে সামনে রেখে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে। সারা দেশের জন্য একটা ফিজিক্যাল প্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় সেটি বাস্তবায়নের কিছু কাজও শুরু হয়েছে। সেই মহাপরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টনসহ অনেক বিষয় রয়েছে।
এরপর লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা বেগম রুনি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।