সিনেমাসহ দৃশ্যশিল্পের নীতিমালা সংস্কারের পাশাপাশি বাংলাদেশের কনটেন্টের যে সম্ভাবনা তাকে পুর্নমূল্যায়নের লক্ষে প্রথমবারের মতো এ নিয়ে সম্মেলন করতে যাচ্ছে ফিল্ম এলায়েন্স বাংলাদেশ।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমিতে ফেবফেস্ট নামে দিনব্যাপি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন নির্মাতা, প্রয়োজক, চিত্রনাট্যকার, অভিনয় শিল্পী, চিত্রগ্রাহকসহ দৃশ্যশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ। সংক্ষেপে যাকে বলা হচ্ছে ‘চিন্তা লেনদেনের উৎসব’।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তরাঁয় এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় সংস্কৃতিও নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রযুক্তির কল্যাণে সংস্কৃতির বাজার এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশের নির্মাতাদের কনেটন্টও বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনও নতুন এ বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নীতিমালা তৈরি হয়নি। সেই সঙ্গে আছে অন্য বাধাও।
অমিতাভ জানান, ইতিমধ্যে উৎসবের নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উৎসব উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও মসিউদ্দিন শাকের।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কোনো দেশ এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। ফলে সংস্কৃতির বাজারও বিচ্ছিন্ন নয়। তাই সময় এসেছে সিনেমা-ওটিটি কিংবা সব দৃশ্যশিল্পের জন্য চিন্তা নবায়নের, সব ধরনের নীতি নবায়নের এবং বিশ্বব্যাপী বাংলা কনটেন্টের যে বাজার তৈরি হয়েছে, সেখানে অবস্থান নেওয়ার। যে কাজটি ইতিমধ্যে দেশ–বিদেশে নানা প্ল্যাটফর্মে উৎসবে এ দেশের তরুণেরা শুরু করেছেন, সেটির পৃষ্ঠপোষকতা এখন জরুরি।\
এসময় একাত্তর টেলিভিশনের চিফ প্ল্যানিং অ্যান্ড কনটেন্ট এডিটর নূর সাফা জুলহাজ বলেন, দেশের প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকার ইকোনমিতে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট ৬৩৭ কোটি টাকা। বাহাত্তরের পরে বাংলাদেশের প্রথম যে বাজেট হয়েছিল তার পরিমান ছিল ৭৬৩ কোটি টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের চেয়েও কম। আমরা রাষ্ট্রে অ্যাটিচুড দেখতে পাচ্ছি। অনেক বছর ধরে নানা সময়ে আমরা রাষ্ট্রের একই অ্যাটিচুড দেখতে পাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, পিপলু আর খান, অভিনেতা ইরেশ যাকের, প্রযোজক গাউসুল আলম প্রমুখ।