আনোয়ার হোসেন:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়নের কুশাখালী বাজার, নলডগী চৌরাস্তা, পরাশগঞ্জ, কালীবিত্তি, ঝাউডগী হয়ে বেড়িবাঁধ (ছুট্টি মিয়ার দোকান)ও এর আশপাশের এলাকার সড়কে চলছে পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর)৷
প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের বুক ছিড়ে ফিটনেসবিহীন এসব পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) -এর বেশির ভাগ চালক ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী৷
জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বেললা, বোরহান, জসীম, ইউছুফ, মাছুমসহ অন্যান্যরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকায় পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) চলাচলের ফলে পাকা রাস্তাগুলো বালুর রাস্তায় রূপান্তরিত হয়েছে৷ যা সামান্য বৃষ্টিতে জনসাধারণ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে উঠবে৷
শুধু তাই নয়- বর্তমানে এলাকাবাসীর একমাত্র চলাচলের সড়কের বেহাল অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন৷ অসুস্থ রোগীকে দ্রুত চিকিৎসালয়ে নেয়ার সেই সুযোগেটিও নেই৷ প্রতি মিনিটে অন্তত পাঁচটি পাওয়ার টিলার চলতে দেখা গেছে৷ এলাকাবাসীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে প্রভাবশালীদের ভয়ে অনেকে দৌড়ে চলে যেতেও দেখা যায়৷
পাওয়ার টিলার চালক মো. তারেক জানায়, গত এক মাস থেকে বেলাল কোম্পানির ১০টি গাড়ি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করছে এ সড়কে৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জনে ব্যক্তি জানায়, হামলা-মামলা ও নিরাপত্তাহীনতার কারনে জনগণ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা৷ কিছুদিন পূর্বে চেয়ারম্যান পাওয়ার টিলারগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং একদিন পরে পুনরায় চলাচল শুরু করে৷ ধারনা করা হচ্ছে- অর্থের বিনিময়ে সমন্বয় হয়েছে৷
১৮নং কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে ০৮ মার্চ এবং ১১ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পরেও দেখা মেলেনি৷ ১১ মার্চ দুপুরে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি৷