অন্যকে মিথ্যে দোষারোপ করতে গিয়ে নিজেই প্রকৃত সত্য সামনে এনে ফেললেন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়! তিনি নিজে প্রেমে পড়েছেন। অর্থাৎ, পরকীয়া করছেন। সেই জন্যেই কি তাঁর পরিণত ২ মানুষের পরকীয়ায় আপত্তি নেই? নাকি, সেই জায়গা থেকে ছাড় পেতে আমাকে শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে জড়িয়ে দিলেন? যাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া, কাজের বাইরে কোনও সম্বন্ধই নেই!
এই প্রশ্ন কেউ করেছেন ওকে? জানতে চেয়েছেন, পিঙ্কির প্রশাসনিক মহলে কত জন ‘বন্ধু’ রয়েছেন? কেউ জিজ্ঞেস করবেন না। কারণ, কোনও নারী এই ধরনের অভিযোগ তুললে সমাজ তাঁর পক্ষে। পুরুষদেরও কান্না পায়, কে বুঝবে? তার উপর সে যদি হয় ‘লোক হাসানো’ কাঞ্চন মল্লিক! লোক হাসাতে হাসাতে আজ একা ঘরে হাউহাউ করে কাঁদছি। কেউ দেখার নেই!
কাঞ্চন বলেন, রাতারাতি কলঙ্কিত নায়ক আমি। রাস্তায় বেরোতে পারছি না। লোকের সঙ্গে মাথা তুলে কথা বলতে পারছি না। সবার বিস্মিত দৃষ্টি যেন তীরের মতো বিঁধছে। মাথা হেঁট নিজের দলের কাছে। কী উত্তর দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? ওরা আমায় ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছেন। দলের কাছে, নেত্রীর কাছে এ ভাবে ছোট করার মানে কী? অবশ্য এটাই বোধহয় পিঙ্কিকে মানায়। বিধায়ক পদে জেতার পর মিষ্টির বাক্স হাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। পরের দিন পিঙ্কির আক্ষেপ, জাত অভিনেতার অপমৃত্যু হলো! আমার জয়ে তার এই মন্তব্য?
এর পরেই কিন্তু একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁকে। চাকরিও করে দিতে হবে ছেলের আয়ার ভাইকে! এত দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা। আমার সঙ্গে যখন জি বাংলায় শো করতে গেল তখনও ক্যামেরার সামনে কি নিখুঁত সুখী দম্পতির অভিনয় করল!
প্রতি সপ্তাহে আমি ছেলের পছন্দসই রান্না নিজে রেঁধে নিয়ে গিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। সবার জন্মদিন পালন করেছি। উল্টো শনিবার মিথ্যে বদনাম দিয়ে আমায় মদ্যপ বলেছে পিঙ্কি। কেউ জানেন না, ওর পরিবারের সবাই প্রতিটি উদযাপনে মদ ছাড়া চলতে পারেন না। তারও জোগান দিয়েছি আমি। ছেলের নামে মিথ্যে প্রচার, ও নাকি কাটা ছাগলের মত ছটফট করেছে সেদিন! ভিডিওটা ভাল করে দেখবেন, শান্ত হয়ে বসে ছিল গাড়িতে। আর শ্রীময়ী বাইরে দাঁড়িয়ে পিঙ্কিকে জোড় হাতে বলছে, দিদি তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো। গত লকডাউনে ২ লক্ষ টাকা আর রেশন পাঠিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। ব্যাঙ্কের তথ্য তার প্রমাণ। কখনও পিঙ্কি ভুলেও বলেনি, আমি আসছি তোমার কাছে। ক’দিন থাকব এক সঙ্গে।
আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত। আমার কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব। প্রচুর কাজ করতে হবে। এই মিথ্যে অপবাদ থেকে রক্তমাংসের কাঞ্চন মল্লিক মুক্তি চাইছে। পিঙ্কি তুমি নিশ্চিন্তে থাক, ছেলের সব দায়িত্ব আমার। এ বার আমায় মুক্তি দাও।