বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে তাঁদের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাইফুল ইসলাম। তাঁর ভাষ্যমতে, এবার পুলিশ ২৫ থেকে ৩০টি ঘর ভেঙে দিয়েছে। অথচ তাঁদের সবার বৈধ কাগজপত্র পুলিশের কাছে জমা রয়েছে।
সারজাপুড়ায় স্থানীয় প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন টুবের শেখ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ মধ্যরাতে হানা দিয়ে বাড়িঘর ভেঙে দেয় এবং নারীদের ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের এই দলে কোনো নারী কনস্টেবল ছিল না।
এ নিয়ে স্থানীয় পুলিশের এসপি (সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ) ভামসি কৃষ্ণা গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, স্থানীয়ভাবে ভারতের পরিচয়পত্র জোগাড় করা খুবই সহজ।
এদিকে সারজাপুড়ার ওই এলাকায় আরও অন্তত ২৫টি বাঙালি হিন্দু পরিবার বসবাস করে। তাদের একজন অজিত মজুমদার বেঙ্গালুরুর স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, বেছে বেছে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ঘরে এসেছিল। কিন্তু আমরা হিন্দু জানার পর চলে যায়। আমরা এখানে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ই পাশাপাশি বাস করি। ছোটখাটো কাজকর্ম যেমন ময়লা কুড়ানো, চামড়ার ব্যাগ সেলাই, কারখানায় প্লাস্টিকের দানা তৈরির মতো ছোটখাটো কাজ করি।’