SAMAKAL | GET THE LATEST ONLINE BANGLA NEWS
Bangladesh
The main goal of the government is to send the Rohingyas safely to their own country: Relief Secretary
The main goal of the government is to send the Rohingyas safely to their own country: Relief Secretary
The main goal of the government is to send the Rohingyas safely to their own country: Relief Secretary
ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৩:০৪
FacebookXWhatsAppLinkedInTelegramMessengerEmailShare
–
অ
+
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের সুষ্ঠুভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই সরকারের মূল লক্ষ্য। এজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে জড়ালো কূটনৈতিক তৎপারতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইমার্জেন্স মাল্টিসেক্টর রোহিঙ্কা ক্রাইসিস রেসপন্স শীষর্ক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা শিখন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বাক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশের মত অধিক জনঘনত্বের দেশে রোহিঙ্গাদের এবং রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্বন্ধে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেনিটেশন, কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয় টি নিয়ে বর্তমান সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে ।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন সচিব) ড. এ.টি.এম. মাহবুব-উল করিম বলেন, প্রকল্পটিতে কক্সবাজারের উখিয়া এবং অন্যান্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কে নিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয় এবং জুন, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে। এ প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি মানবিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প । এ প্রকল্পের আওতায় উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের জীবনমান ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে এবং বিধবা মহিলা ও প্রতিবন্ধী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০ ডলার করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর বাংলাদেশ প্রধান মিজ নামিকো মোতোকাওয়া রোহিঙ্গা প্রকল্পে তাদের মূল কার্যক্রম সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা দেন। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কর্মক্ষম করে তোলা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা তৈরি, তাদের বসবাসরত ক্যাম্পে সবুজ বনায়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।