ভারতের ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে নেপালে দুশ্চিন্তা

ভারতীয় বাহিনীর ‘সংস্কারের স্বার্থে’ গত জুন মাসে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রকল্প অনুযায়ী সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সীদের স্বল্প মেয়াদের প্রশিক্ষণ শেষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে চার বছরের জন্য জওয়ান হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তাঁদের ডাকা হবে ‘অগ্নিবীর’ নামে। চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ২৫ শতাংশ উপযুক্ত ‘অগ্নিবীর’ পাকাপাকিভাবে বাহিনীতে নিযুক্ত হবেন। বাকি ৭৫ শতাংশকে বিদায় জানানোর সময় দেওয়া হবে প্রায় ১২ লাখ রুপি, ভবিষ্যৎ পাথেয় হিসেবে। অগ্নিবীরদের মাসিক বেতন থেকে একটি পরিমাণ টাকা কাটা হবে, সমপরিমাণ টাকা দেবে সরকার। চার বছরে সেই টাকা সুদ–আসলে হবে প্রায় ১২ লাখ। ওই টাকা করযোগ্য নয়।

প্রথাগত স্থায়ী নিযুক্তির বদলে চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিপথ’ চালুর কারণ হিসেবে ঘোষিত সরকারি যুক্তি, জওয়ানদের গড় বয়স কমিয়ে সক্ষমতা বাড়ানো। এই মুহূর্তে বাহিনীর গড় বয়স ৩২। অগ্নিপথ কমিয়ে করবে ২৬। অঘোষিত কারণ, পেনশন ও অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার দরুণ সরকারের বিপুল আর্থিক বোঝা হালকা করা। প্রথম বছরে ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নেওয়া হবে। সে জন্য ভারতে তিন বাহিনীর নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর নেপালে দুই পর্যায়ে ভর্তি শিবির খোলার কথা।

ভারত, নেপাল ও ব্রিটেনের মধ্যে ১৯৪৭ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপালি গোর্খাদের ভারত ও ব্রিটেনের বাহিনীতে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের বিভিন্ন মহলের ওজর–আপত্তি সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্নভাবে এই নিয়োগ প্রথা চলে আসছে।

image_pdfimage_print