অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপনন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই এবার দাম বাড়ালেন সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
অথচ আন্তজার্তিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসে এই জাতীয় কমিটিই সয়াবিন তেলের দাম পুন:নির্ধারন করবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল। গত ১৯ এপ্রিল দেশের ভোজ্যতেল উত্পাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানায়।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২২ টাকা, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া পাম সুপার তেল ১১৩ টাকায় বিক্রি হবে। ইতিমধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি দরে ভোজ্যতেল বিক্রি শুরু করেছেন।
তকাল শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, শান্তিনগর ও মহাখালী কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে বাড়তি দরে ভোজ্যতেল বিক্রির তথ্য জানা যায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোর পরিবেশকরা তেলের দাম বাড়ার কথা জানিয়েছেন। এদিকে দাম বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের বোতলজাত সয়াবিন তেলও বাড়তি দরে বিক্রি করছেন।
সরকারের বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাজারে খোলা সয়াবিন নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১২২ থেকে ১২৬ টাকা।
কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপনন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: জাফর উদ্দীনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী ইত্তেফাককে বলেন, ‘কমিটির বৈঠক হয়নি। বৈঠকেই ভোজ্যতেলের দর নির্ধারণ হওয়ার কথা।’