Ronaldo on the verge of world record

কাতার বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। বেশির ভাগ ম্যাচেই বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ফুটবলারকে। বিশ্বকাপের পর সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাননি তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই ফুটবলার দাঁড়িয়ে আছেন নতুন এক মাইলফলকের সামনে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে উয়েফা ইউরোর বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। লিশটেনস্টাইনের বিপক্ষে ম্যাচটিতে খেলতে নামলেই বিশ্বরেকর্ড গড়বেন রোনালদো। জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তির রেকর্ডটি ঝুলিতে পুরবেন এই পর্তুগিজ উইঙ্গার।

কাতারে মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদোর ১৯৬তম ম্যাচ। এতে কুয়েতের বদর আল-মুতাওয়ার সঙ্গে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি ভাগাভাগি করেন তিনি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনালদো। এর আগেই অবশ্য সেসময়ের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন তিনি। মরক্কো ম্যাচের পর তার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।

তাছাড়া বিশ্বকাপের আগেই ম্যানচেস্টার ইউনেটেডের সঙ্গে রোনালদোর ‘তিক্ত’ সম্পর্ক ছিন্ন হয়। ক্লাবহীন হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে সংশয় বাড়ছিল। বিশ্বকাপের পর আবার তিনি ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমান সৌদির ক্লাবে। ফলে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল থেকে তিনি ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে রোনালদোর সামনে এখন অপেক্ষা করছে অনন্য এক মাইলফলক।

২০০৩ সালের ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় রোনালদোর। ১৯৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১১৮টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার চেয়ে বেশি গোল নেই আর কারো। রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি রয়েছেন বেশ পেছনে। ১৭২ ম্যাচ খেলে মেসির গোলসংখ্যা ৯৮টি।