বাস থেকে নামিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু পাহারাদারের

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা থেকে সোনাপুর যাওয়ার জন্য তিনি জননী পরিবহন নামের একটি বাসে ওঠেন। রামগঞ্জে এসে বুঝতে পারেন, ভুল বাসে উঠেছেন। বিষয়টি চালক ও তাঁর সহযোগীকে জানালে তাঁরা তাঁকে নোয়াখালীর বাসে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাসে অপেক্ষা করতে বলেন। এ সময় তিন যুবক এসে তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে বাসটির চালকের সহকারীকে মারধর করে ওই যুবকেরা। তাঁর কাছে থাকা তিন হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

জননী বাস সার্ভিসের চালকের সহযোগী মো. আজাদ বলেন, গতকাল রাত নয়টার দিকে এমরান হোসেন (২৬) নামেন এক ব্যক্তি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে তরুণীকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এরপর বাস টার্মিনালের পেছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এ সময় টার্মিনালের পাহারাদার শাহজাহানসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এমরান ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অভিযান চালিয়ে আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চিৎকার করার কারণে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন পাহারাদার শাহজাহান। ঘটনার ১০-১৩ মিনিট পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।