Flood may occur in this month

আষাঢ় আসতে এখনো এক সপ্তাহের বেশি বাকি। কিন্তু গত কয়েকদিনের রাজধানীর আকাশ যেন ‘আষাঢ়স্য’ কালের। ঢাকায় গতকাল শনিবার ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের মিশ্রণে সৃষ্ঠ মেঘ থেকেই এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মৌসুমি বায়ু স্থলভাগে উঠে এসেছে। গতকাল আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার টেকনাফ দিয়ে বর্ষাবাহী বায়ু দেশে প্রবেশ করতে পারে। এতে বাড়বে বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথমার্ধে আসবে পুরো দস্তুর বর্ষাকাল। এ মাসে সাগরে যেমন নিম্নচাপ, ভারি বর্ষণ, আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে, তেমনি তীব্র তাপপ্রবাহের আভাসও রয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

বন্যা হতে পারে এ মাসেই

দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে একটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারি বর্ষণের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২-৩ দিন মাঝারি ও তীব্র বজ্রঝড়, এবং অন্য অঞ্চলে ৩-৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান গতকাল বলেন, এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা মৌসুমি বায়ুর জন্য নয়, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে হচ্ছে। তিনি জানান, দু-একদিনের মধ্যেই মৌসুমি বায়ু মিয়ানমার থেকে টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে। এরপর চট্টগ্রাম এলাকা দিয়ে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

 

গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পদ্মায় পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানিও বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি স্থিতিশীল আছে। এই স্থিতিশীলতা থাকতে পারে ৪৮ ঘণ্টা। পাউবোর পর্যবেক্ষণে থাকা বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে ৪১টিতে পানি বেড়েছে এবং কমেছে ৫৩টি পয়েন্টে। অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টে। একটি পয়েন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি।