ইসরায়েলকে সমর্থন করায় পশ্চিমাদের শায়েস্তা করতে গত শতকের সত্তরের দশকে জ্বালানি তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল আরব দেশগুলো। গত ৩০ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) ২৭ সদস্যরাষ্ট্রের প্রধানেরা একই অস্ত্র নিজেদের জন্য ব্যবহারের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিবাদে মস্কোর ওপর নতুন করে একদফা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইইউর এমন সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ব্যাংক সেবারব্যাংককে আন্তদেশীয় লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। এ প্যাকেজে চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য যেমন ডিজেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে যে তেল সরবরাহ করা হয় সাময়িক সময়ের জন্য তা নিষেধাজ্ঞার বাইরেই থাকবে বলে জানিয়েছে ইইউ।
এই খবরে এক ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে হয় ১২০ ডলার। গত মার্চের পর যা সর্বোচ্চ। নীতিগতভাবে ইইউর এ সিদ্ধান্তের অনেক তাৎপর্য রয়েছে। এর মাধ্যমে ইইউ একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে অর্থনৈতিক কষ্ট সহ্য করতেও যে তারা রাজি, সেটা ক্রেমলিনের সঙ্গে থাকা অল্প কিছু বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে প্রদর্শন করেছে।