শ্যালো মেশিনের দাম পরিশোধের জন্য ৩২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন কৃষক মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল। সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণখেলাপির দায়ে ৩২ বছর আগে দায়েরকৃত মামলার বিচারে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এই কৃষক। সাজা খাটার ভয়ে সেই থেকে বিভিন্ন স্থানে স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ঐ কৃষক।
শনিবার রাতে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অরুণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী জলছত্র বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার তাকে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, আইডিবি নামক সরকার পরিচালিত একটি সংস্থার কাছ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে ৩২ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে ঋণে শ্যালো মেশিন নিয়েছিলেন চিলমারি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী কাজলডাঙ্গা (মণ্ডলপাড়া) গ্রামের মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল। এ অবস্থায় ঋণখেলাপির দায়ে ঐ সংস্থা তৎকালীন চিলমারী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেনাল কোডের ৪০৬ ধারায় সিআর মামলা দায়ের করে। মামলাটির বিচার শেষে তৎকালীন উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে মো. খোরশেদ আলী মণ্ডলকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। তখন থেকে খোরশেদ পলাতক ছিলেন।
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল পলাতক থাকাকালে নাম পালটে স্থান ও পেশা বদল করে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করছিলেন। প্রথমে গাজীপুর জেলার ভোটমারী এলাকায় রিকশা চালাতেন। এরপর গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় রিকশা গ্যারেজ দিয়ে সেখানে বসবাস করেছেন। পরবর্তী সময়ে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার বেড়িবাঁধ ইউনিয়নের জলছত্র বাজারে নিজেকে সৈয়দ আলী নামে পরিচয় দিয়ে চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন খোরশে