সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের পিয়ান নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। প্রভাবশালী একটি মহল সম্প্রতি কৌশলে বালু উত্তোলন শুরু করে। লিস্টার মেশিন (পানির গভীর থেকে বালু উত্তোলন যন্ত্র) দিয়ে এ বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে শতশত বিঘা ফসলি জমি, সরকারি স্থাপনা, সড়ক, শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ (গুচ্ছগ্রাম) বিভিন্ন এলাকা। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
গত রোববার উপজেলার শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে রইছ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসি বরাবর পৃথক অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নদীর যুগনিয়া থেকে বুড়িডহর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০টি লিস্টার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী গ্রাম, রাস্তা, ঈদগাহ, কবরস্থান ও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় পশ্চিম ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াদ আলী বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পিয়ান নদীর একাংশ ইজারা না থাকলেও কিছুদিন ধরে প্রভাবশালী মহল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছে। নদীর দুই পাড়ে, বিশেষ করে শিমুলতলা গুচ্ছগ্রাম ও বুড়িডহর গ্রামের দুই পাড় কেটে, এমনকি লিস্টার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে স্তূপ আকারে রাখা হচ্ছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও কাজ হচ্ছে না। এ বালু উত্তোলনের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সমকালকে জানান, সম্প্রতি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর পরিপ্রিক্ষিতে গত সোমবার অভিযান চালানো হয়। জড়িতদের নাম সংগ্রহের কাজ চলছে। আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।