তুচ্ছতাচ্ছিল্যের প্রতিশোধ নিতেই চাচাত বোনকে হত্যা করে কিশোর নিশাত।

তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করায় চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করা হয় বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন কিশোর নিশাত। শুক্রবার (৭ মে) রাতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই মাদরাসা ছাত্র।

জবানবন্দিতে নিশাত বলেন, ছোট বেলায় মারা যায় বাবা। চাচা-জেঠা আর ফুফুসহ আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় চলছিল নিশাতের সংসার। প্রতিনিয়ত তাদের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার থেকে ক্ষোভ জন্মাতে থাকে তার মধ্যে। এর শোধ নিতেই চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করা হয়। শনিবার (৮ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী পিপিএম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খুব অল্পসময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট দেওয়া হবে। আদালতের জবানবন্দিতে নিশান বলেন, তার বাবা জীবিত না থাকায় ও তারা দরিদ্র হওয়ায় চাচার পরিবার তার বাবার সব সম্পদ গ্রাস করে নিয়েছে। নিয়মিত তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো। একটু সুযোগ পেলেই কটু কথা বা গালমন্দ করা হতো।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তার মনে ক্ষোভ জমেছিল। তানিশার ভাই মসজিদে ‘ইতেকাফ’এ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে মসজিদে ভাত পৌঁছে দিতে বলে। সে ভাত নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পথে অন্য একজনকে ওই ভাত পৌঁছে দিতে বলে, আবার বাড়ি ফিরে যায়। তখন ঘরে ছিল তানিশা ও তার দাদি।