ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ইস্যুতে উত্তাপ ছড়িয়েছে দাভোস সম্মেলনে। কিয়েভের অভিযোগ, সময়মতো প্রতিশ্রুত অস্ত্র না পাওয়ায় ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রুশ বাহিনী তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। দ্রুত ট্যাংক এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো সমরাস্ত্র সরবরাহ করতে পশ্চিমকে তাগিদ দিয়েছেন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিবও। অন্যদিকে মস্কোও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইউক্রেনকে ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পশ্চিমা শক্তি। খবর ইউরো নিউজের।
মূলত, রুশ হামলায় এখন বিপর্যস্ত নিপ্রো আর সোলেদার শহর। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর দুটিতে কয়েক দিন ধরেই চলছে তুমুল লড়াই। এরমধ্যে সোলেদারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী, নিপ্রোতেও চাপের মুখে ইউক্রেনীয় সেনারা। এই ইস্যুরই উত্তাপ ছড়িয়েছে দাভোস সম্মেলন পর্যন্ত। কিয়েভ বলছে, সময় মতো পশ্চিমা অস্ত্র না পৌঁছানোয় অঞ্চল দুটিতে অবস্থান শক্তিশালী করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, পরবর্তী রুশ ক্ষেপণাস্ত্র তাণ্ডব চালানোর আগেই আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নতুন চালান প্রয়োজন। নতুন এলাকায় আগ্রাসন চালানোর আগেই আমাদের ট্যাংক প্রয়োজন। হামলা হয়ে যাওয়ার পর এসব অস্ত্রের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। সময়ের সাথে সাথেই কঠিন হচ্ছে দোনবাসের পরিস্থিতি।
সম্মেলনে অংশ নেয়া ইউরোপ এবং পশ্চিমের নেতাদের প্রতি দ্রুত সমরাস্ত্রের তাগিদ জানান সামরিক জোট ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গও। তিনি বলেন, যুদ্ধ এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন ইউক্রেনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তেই তাদের সমরাস্ত্র সরবাহ করা প্রয়োজন। শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্য যে, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্যই কিয়েভকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
এদিকে, কিয়েভকে সহায়তা ইস্যুতে সামরিক জোট ন্যাটো এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিষয় পরিষ্কার এবং এতে কোনো মিথ্যা নেই। আর তা হলো এটা মূলত পশ্চিমেরই লড়াই। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করছে ন্যাটো জোট। এর পরিণতি বহন করতে হচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষকেই। নিপ্রোর পরিস্থিতি দেখুন। পশ্চিমের পাঠানো এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের আঘাতেই ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে সেখানে।
এদিকে রুশ-বেলারুশ সীমান্তে দু’দেশের সামরিক মহড়া চলছে। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠেকাতেই চলছে বিমান বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ।