বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনারপাড়া ক্যাম্পের কাছে নোম্যান্সল্যান্ডে এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহতের গায়ে আরএসও নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পোশাক দেখা গেছে। এছাড়া ১২ বছরের এক শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকালে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে কারা গোলাগুলি করেছে সেটি নিশ্চিত নয়। নিহতের গায়ে আরএসও নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পোশাক দেখে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুপুরে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহত রোহিঙ্গার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, হতাহত রোহিঙ্গাদের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আনা হয়েছে। সেখানে কি হয়েছে, তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।