Personal Correspondent:
In Lakshmipur হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন প্রকার মাদক। যেখানে-সেখানে পওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা, মদ, বিয়ার। ছাত্র ও যুব সমাজ, নারী-পুরুষসহ জনপ্রতিনিধিরাও ঝুঁকছেন মাদকে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। ঘটছে খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা৷
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সচেতন মহল। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত তিন মাসে জেলায় মাদক মামলা হয়েছে ২৪৮টি। মাদক বিক্রেতা ধরা পড়েছে ৩৩০ জন। এ সময়ে জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।
জানা যায়, জেলা শহরের হ্যাপি রোড, শাখারীপাড়া, মজুপুর, মোবারক কলোনিসহ ১০টি এবং রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় শতাধিক মাদক স্পট রয়েছে। এসব স্থানে নিত্যনতুন কৌশলে মাদক বেচা-কেনা হয়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাদক বহন হয় বেশি। এ ছাড়া নদীপথে মেঘনার রামগতি ও মজু চৌধুরীর হাট এলাকা দিয়েও মাদক আনা-নেওয়া করা হয়। চট্টগাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী থেকে আসে মাদক। সন্ধ্যা নামলেই সেবক-বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্য বাড়ে এ জেলায়। কয়েক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে লড়বেন সেখানে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক জনপ্রতিনিধি (মেম্বার, চেয়ারম্যান) মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে বিক্রেতারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায় বলেও অভিযোগ তাদের।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, মাদকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হবে না।
লক্ষ্মীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা একাধিক হাত বদল করে। ফলে গডফাদারদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।