বুয়েটের ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের’ পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সভাপতি এসব কথা বলেন৷ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফিরিয়ে আনা ও তাদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে৷

মানববন্ধন থেকে বুয়েট প্রশাসনের উদ্দেশে আল নাহিয়ান খান বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কী বোঝাতে চান? আপনারা কি বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না৷ আপনাদের জন্য অশনিসংকেত এই জঙ্গি চক্র আপনাদেরই প্রথমে হত্যা করবে৷’

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের এখতিয়ার কারও নেই মন্তব্য করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের আবারও বিবেচনা করতে বলব, ছাত্ররাজনীতি আবারও সচল করে বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য আপনারা পদক্ষেপ নেবেন। দেশের জন্য বুয়েটের সাবেক (ছাত্রলীগ) নেতারা কাজ করেছেন। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সঙ্গে কী বেয়াদবিটা করল দেখেছেন! এ ধরনের বেয়াদবেরা ভালো কিছু বয়ে আনবে, আমি কখনো তা মনে করি না৷’

ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অনুরোধ থাকবে যারা বঙ্গবন্ধুর শোকের কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করেছে, তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা উচিত। তারা রাষ্ট্রদ্রোহ ও সংবিধান লঙ্ঘনের মতো একটা কাজ করেছে। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। জামায়াত-শিবিরের কুচক্রী মহল যারা বাংলাদেশকে কখনো মেনে নেয়নি, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জাতির পিতা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন৷ তাঁকে নিয়ে যারা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাবে, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। মানববন্ধন থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়৷

বুয়েট ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গতকাল শনিবার বিকেলে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট-এর সাবেক নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারে জাতীয় শোক দিবসের এক কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান কয়েক শ শিক্ষার্থী৷ তাঁদের তোপের মুখে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা চলে যেতে বাধ্য হন। বুয়েট কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি হবে, তা তাদের জানা ছিল না৷ পরে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত। তাঁদের বিক্ষোভ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির বিরুদ্ধে ছিল না। বিক্ষোভটি করা হয়েছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাবদিহি আদায়ের জন্য৷