সহযোগিতা পেলে ‘কাগজের ফুল’ বানাবেন ক্যাথরিন

তিনি বলেন, ‘আসলে কাজটা শুরুই করা হয়নি। আমরা শুধু স্ক্রিপ্ট লিখেছিলাম। এরপর প্রিপ্রোডাকশনের কাজ কিছুটা এগিয়েছিল, তবে আরও অনেক কাজ বাকি ছিল। তখন যে বাজেট ছিল, তা আমাদের জন্য ছিল বিশাল পাহাড়ের মতো। তখন ভেবেছিলাম, এত বড় বাজেটের সিনেমা বাংলাদেশে কীভাবে সম্ভব! বাংলাদেশ এখন চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে, ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। এখন হয়তো কাজটা নতুন করে শুরু করার একটা সম্ভাবনা আছে। আমারও ইচ্ছা আছে। আমার আশপাশের মানুষেরা যদি সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। যত দিন এই জগতে থাকি, আমার ইচ্ছা কাজটি শেষ করা।’

ক্যাথরিন আরও বলেন, ‘বাইরের মানুষের জন্য ব্যাপারটা বোঝা কষ্টকর যে ২০১১ সালের ওই দুর্ঘটনার পর একজন মানুষের ওপর কী পরিমাণ চাপ যেতে পারে। আমি ভাবিনি মানুষ বুঝবে, তখন আমার বাচ্চার বয়স এক বছর। এত বড় কাজ নিয়ে আমি একা এগিয়ে যেতে পারিনি। মিশুক মুনীর বেঁচে থাকলেও হতো। আমরা তিনজন একসঙ্গে কাজ করতাম। তিনজনের মধ্যে দুজন চলে গেল। চলচ্চিত্রের কাজ এককভাবে হয় না, একটা টিম লাগে। টিমটা একত্রে কাজ করে বছরের পর বছর লাগে সেটা ম্যাচিউর হতে। আমরা শুরু করেছিলাম “আদম সুরত” দিয়ে। ৩০ বছরের সম্পর্ক আমাদের। মুহূর্তের মধ্যে সব ধ্বংস হয়ে গেল। ক্রিয়েটিভ পার্টনার, লাইভ পার্টনারকে হারানোর পর বিশাল একটা দায়িত্ব এসে পড়েছিল আমার কাঁধে। তারপরও আমি এগিয়েছি। আমার পাশে তখন অনেকেই ছিল। তবু আমরা স্বপ্ন দেখি “কাগজের ফুল” ও “অন্যান্য ফুল” নিয়ে। বর্তমান বাজারে সেটা সম্ভব। আপনাদের দোয়া ও সাপোর্ট নিয়ে আমরা হয়তো এগিয়ে যেতে পারব।’