Anwar Hossain
আসছে ২০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) লক্ষ্মীপুরের ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে৷ কিন্তু বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে) বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ভোটারদের এখনো দিতে পারেনি৷ প্রার্থীর এমন আচরণে স্থানীয় ভোটার ও সুশীলদের মাঝে বহুবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে৷
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বর্তমান সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই এ পর্যন্ত সুষ্ঠু হয়নি। তাই দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নন। এটি একটি রাজনৈতিক অংশগ্রহণ৷ যার মধ্যদিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং ইউনিয়ন বিএনপির অবস্থান নতুন রূপে তুলে ধরা ছাড়া আর কিছুই নয়৷’
এই উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন৷ আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনীয় মাঠে ব্যস্ত সময় পার করলেও বিএনপি প্রার্থী মাঠে নেই৷
ভোটারের সাথে প্রার্থীর সম্পর্ক সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যে (ইশতেহার) অঙ্গীকারনামা; তা গত ৩ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে আজ (১৭ অক্টোবর) পর্যন্ত বিএনপির এই প্রার্থী অঙ্গীকারনামা দিতে পারেনি বলে- অনেকে প্রশ্ন তুলছেন কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তিনি ?
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন (বাচ্চু) জানান, ‘লিখিত কোন অঙ্গিকার ভোটারদের দিতে না পারলেও প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বলা কথাই বড় অঙ্গিকার৷’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপির (ধানের শীষ প্রতীকের) বিজয় সুনিশ্চিত৷’
এবিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আলী হোসেন জানান, ‘কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা ছাড়া কি ভাবে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন, তা বোধগম্য নয়৷ ওই প্রার্থীকে কেন ভোটদিবেন তা ভোটাররাই ভালো জানেন৷ তবে যে বা যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন তার মাধ্যমে জনগণ যেন কাঙ্খিত সেবা পায় আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি৷’