‘সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত গবেষণা ও সংবাদ প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যে ঝুঁকিপূর্ণ ইনডেক্স প্রকাশ করছে, সেখানে ২৫টি দেশের তালিকায় অনেক বড় বড় দেশ আছে, কিন্তু বাংলাদেশের নাম নেই’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদ যাঁরা (জি এম কাদের ও রিজভী) এ নিয়ে কথা বলছেন, তাঁদেরকে বলব একটু পড়াশোনা করার জন্য।’
তথ্যমন্ত্রী আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্য ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে পারে’ এবং বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের জিডিপির ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ নিরাপদ। সে জায়গায় আমাদের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ১৬ শতাংশ এবং এর বিপরীতে সুদের ব্যয় জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ। আর জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ঋণ নেওয়া যায়। সেই জায়গায় আমাদের ঋণ মাত্র ৩৬ শতাংশ। সুতরাং দেশের অর্থনীতির ভিত শক্ত।’
আইনের শাসন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই আদালতের রায় মানে না। বিএনপির আইনজীবীরাই আদালতে প্রধান বিচারপতির দরজায় অর্থাৎ দেশের প্রধান বিচারালয়ে লাথি মেরেছিল। তারা আইন-আদালত কোনোটাই মানে না, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। আর দেশে আইনের শাসন আছে বিধায়ই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যকে আদালতের রায়ে জেলে যেতে হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হয়। আর আদালতে শাস্তি পাওয়া সত্ত্বেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে মুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। সে জন্য মির্জা ফখরুলের উচিত বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যাবে না—এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো নির্বাচনকেই ভয় পায়। আশা করব, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা ইসির সংলাপে যাবে। সেখানে গিয়ে তাদের ওজর-আপত্তি থাকলে সেটা জানিয়ে আসবে।’