নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় নাইজার প্রদেশে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কমিশনার এমানুয়েল উমর অবশ্য প্রথমে বলেছিলেন, অজতা আবোকি নামের একটি গ্রামে এই হামলায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলার জবাব দিতে গেলে একদল বন্দুকধারী চোরাগোপ্তা হামলা করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এ সময় তিনটি সামরিক ট্রাকে থাকা অন্তত ৩০ সেনা নিহত হন। শিরোরো ও নাইজারের রাজধানী মিনারের দুটি সূত্র গতকাল এ তথ্য জানায়।
শিরোর একটি সামরিক ঘাঁটির একজন সেনাসদস্য রয়টার্সকে বলেন, ‘অভিযান চালানোর জন্য সেখানে পাঠানো আমাদের সহকর্মীদের এভাবে হারানোর ঘটনা হৃদয়বিদারক।’ তবে ওই সেনাসদস্য তাঁর নাম-পরিচয় কিছু জানাননি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই তাঁর।
লড়াইয়ে হেরে যাওয়া বিষয়ে সাধারণত নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীকে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায় না। তবে এবার দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শিরোরোতে তুমুল লড়াইয়ে আমাদের বেশ কিছু সেনাকে মূল্য দিতে হয়েছে।’