Reluctance in hygiene despite the increase of Corona

সরকার মাস্ক পরার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করলেও দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক পরছেন না। গতকাল বরিশালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়াই বাজারে ও জনবহুল এলাকায় স্বাভাবিক চলাচল করছেন। নগরের চকবাজার, বাজার রোড, সদর রোড, বাংলাবাজার, চৌমাথা, সাগরদি, রূপাতলী, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মাস্ক ছাড়াই লোকজনকে দেখা গেছে। এ নিয়ে প্রশাসনেরও কোনো তদারকি চোখে পড়েনি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল Prothom-aloকে বলেন, ক্রমেই সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মাস্ক পরার ব্যাপারে এখন যেভাবে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে, সেটা আশঙ্কার বিষয়।

চট্টগ্রামে সংক্রমণ ১০ শতাংশের বেশি

চট্টগ্রামে প্রতিদিন করোনা শনাক্তের হার ১০ শতাংশের বেশি। সাড়ে চার মাস পর গত শুক্রবার করোনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। সর্বশেষ গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হন ৪৩ জন। শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

তবে শনাক্তের হার বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তি রোগী কম। সব মিলিয়ে ৩০ জন কোভিড রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই ১০ শতাংশের ওপর হচ্ছে। কিন্তু গুরুতর রোগী কম। তাই হাসপাতালে ভর্তি নেই। টিকা দেওয়া থাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে না। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।

image_pdfimage_print