ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বেড়েছে অনুমোদনহীন ‘দরজা খোলা’ গাড়ি। মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মিয়ারবাজার পর্যন্ত এসব গাড়িতে চলছে অবাধে যাত্রী পরিবহন। সেগুলোর অধিকাংশরই নেই ফিটনেস ও রোড পারমিট।
দেখা গেছে, প্রতিদিন গেইট পাস (জিপি) ও মাসিক টোকেনের নামে চাঁদা দিয়ে বছরের পর বছর চলছে এসব যানবাহন। স্বল্প দূরত্বের যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে আর এসব প্রাইভেট যানবাহনের সর্বদাই থাকে দরজা খোলা। যে কারণে যানগুলো স্থানীয়দের কাছে ‘দরজা খোলা গাড়ি’ নামেও পরিচিত। মহাসড়কের প্রতিটি স্টেশন এলাকায় অবাধে ওইসব যান এলোপাথাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে গৌরীপুর, চান্দিনা, নিমসার, ময়নামতি এলাকায় যানজট নিত্য সঙ্গী। স্থানীয়দের মতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে ওইসব যানবাহন।
ময়নামতি-ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কে.এম জামাল হোসেন জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ মাইক্রোবাস তুলে দিয়ে মিনিবাস চালু করতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সভায় আমাদেরকে ইলিয়টগঞ্জ থেকে ময়নামতি পর্যন্ত ২৬ আসনের ৫০টি ও ময়নামতি থেকে মিয়ারবাজার পর্যন্ত ২৬ আসনের ৫০টি মিনিবাস নামানোসহ সেগুলোর রুট পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। সভার রেজুলেশন অনুযায়ী আমাদেরকে জানানো হয়েছিল, আমাদের মিনিবাস সার্ভিস চালু হলে অবৈধ মাইক্রোবাস সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসনের নির্দেশে আমরা মিনিবাস সার্ভিস চালু করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মিনিবাস সার্ভিস চালু করার পরও অবৈধ যানগুলো বন্ধ করা হয়নি। ওই রোডে হাজার হাজার ওইসব অবৈধ যানবাহন থাকার ফলে আমরা যাত্রী পাচ্ছি না। মহাসড়ক থেকে ওইসব যানবাহন দ্রুত সরিয়ে নিতে আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওন পুলিশ সুপার (এস.পি) রহমত উল্লাহ জানান, মূলত বিষয়টি নিশ্চিত করবেন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। এছাড়া এই মুহূর্তে ওইসব গাড়িগুলো তুলে দিলে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে পারে। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের চলাচলে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস নামানো হলে এসব পরিবহন বন্ধ করতে পারবো।