রীতিমতো পানির দামে কেনা কোরবানির পশুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। নগরীর আড়তদার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে কাঁচা চামড়ার মজুদ শেষ হয়ে গেছে। নগরীর বাইরে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে লবণযুক্ত প্রায় ১ লাখ পিস চামড়া এখনো অবিক্রীত রয়েছে। দরে দামে বনিবনা না হওয়ায় এসব চামড়া এখনো রয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আড়তদার ব্যবসায়ীরা জানান, নগদে বাকিতে চামড়া বিক্রি হয়েছে। তবে আগের বকেয়া টাকা পরবর্তীতে কিস্তিতে পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ইত্তেফাককে বলেন, দুই আড়াই মাস পর্যন্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে। চলতি মাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কেনা হচ্ছে। বিদেশি অর্ডার আরও পরে পাওয়া যাবে। আশা করি, রপ্তানি বাজার ভালো পাব।’
আড়তদার ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামে এই বছর আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ দেড় হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে ২ লাখ পিস চামড়া নগরীর আড়তদার ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছেন। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় আড়তগুলোতে এসব কাঁচা চামড়া লবণযুক্ত করে মজুদ রাখা হয়েছে। ঢাকার ট্যানারিগুলো চট্টগ্রাম থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন। প্রায় ২০/২৫টি ট্যানারির সঙ্গে চট্টগ্রামের আড়তদার চামড়া ব্যবসায়ীরা লেনদেন করে থাকেন। তাদের কাছে চট্টগ্রামের আড়তদার ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বলেন, আড়তদারদের কাছে মজুত লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। সরকারনির্ধারিত দরে ট্যানারিগুলো লবণযুক্ত চামড়া কিনেছে। নগদে বাকিতে মিলিয়ে চামড়া বিক্রি হয়েছে। নগরীর বাইরে প্রায় ১ লাখ পিস কাঁচা চামড়া অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে। ট্যানারিগুলো আগের বকেয়া টাকা পরবর্তীতে কিস্তিতে পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে।’