আল্লু অর্জুনের মতো হতে চান জুনায়েদ

দক্ষিণ ভারতের সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন আরফিন জুনায়েদ। আর ভালোবাসেন টিকটকে ভিডিও বানাতে। তবে তাঁর লক্ষ্য সিনেমায় অভিনয়। ভারতের আল্লু অর্জুনের মতো বড় অভিনেতা হতে চান তিনি। গুটি গুটি পায়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে চান সেই পথে।

২০১৭ সাল থেকেই টিকটক করেন জুনায়েদ। তবে গত দুবছর নিয়মিত ভিডিও বানাচ্ছেন। আগে মাসে একটা ভিডিও পোস্ট করতেন। এখন সেই সময় সুযোগ কমে এসেছে। টুকটুক করে বাড়তে শুরু করেছে মূলধারার বিনোদন অঙ্গনের কাজ। এরই ফাঁকে সুযোগ এসেছিল নাটক ও সংগীতচিত্রে অভিনয়ের। ইউটিউবের জন্য নির্মিত সেসব প্রযোজনায় অভিনয় করেছেন তিনি। মডেল হিসেবেও বেশ কিছু কাজ করছেন। অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আল্লু অর্জুনের মতো বড় মাপের অভিনেতা হওয়া। সেটা তো সহজে হবে না। অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যদি সুযোগ পাই, একদিন না একদিন আমার সেই ইচ্ছা পূরণ হবে।’

টিকটকে যেদিন এক লাখ অনুসারী হলো, জুনায়েদের মনে হলো, চাইলে তিনিও টিকটক তারকা হতে পারেন। গত বছর হঠাৎ ভিডিওর জন্য স্পনসর পেতে শুরু করেন তিনি। শুরুর দিকে পরিস্থিতি ছিল একেবারে উল্টো। কেউ তাঁর এসব কর্মকাণ্ড পছন্দ করত না। তখনকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে জুনায়েদ বলেন, ‘মানুষের কাছে অনেক কথা শুনতে হতো, মারও খেয়েছি। আগে যাঁরা আমাকে দেখতে পারতেন না, এখন তাঁরাও আমাকে সাপোর্ট করেন। এখন আমার কনটেন্টগুলো তাঁদেরও ভালো লাগে।’

কটক নিয়ে নানা সমালোচনা। এসব সামাল দেন কীভাবে? জুনায়েদ বলেন, ‘ছোট থেকে কখনোই মানুষের গালি শুনিনি। কিন্তু টিকটক করতে এসে শুনতে হয়েছে। আমাকে যাঁরা অপছন্দ করেন, এখনো অনেকে ভিডিওগুলোতে এসে গালি দেন। কিছু করার নেই, ইগনোর করি।’ আর ভালো মন্তব্য? ‘মিঠু খান নামের একজন আমার ভিডিও দেখে বলেছিলেন, “ভাইয়া আপনি চালিয়ে যান। একদিন বড় পর্দায় আপনার কাজ দেখব।” এ রকম মন্তব্য শুনলে খারাপ মন্তব্য পাত্তা দিতে ইচ্ছা করে না।’

মূলধারায় অভিনয়ের সুযোগ পেলে টিকটক ছাড়বেন? জুনায়েদ বলেন, ‘টিকটক ছাড়ব না। এটা আমার অনেক পছন্দের জায়গা। যখন মন খারাপ থাকে, টিকটক করি। মন ভালো হয়ে যায়, ভালো টাইম পাস হয়।’