যা বললেন বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার বৈঠকে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা বৈঠক পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দুই নেতা।

বাইডেন বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমার এজেন্ডা জানিয়েছি। এটি রাশিয়া বা কারোর বিরুদ্ধে নয়, এটি আমেরিকার জনগণের জন্য। আমেরিকান হিসেবে সব সময় মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে। তিনি মূলত সৌহার্দমূলক মনোভাব দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, পুতিন জানেন যে পরবর্তী সময়ে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা সাইবার হামলা চালালে পরিণতি কী হতে পারে।

যেকোনো মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে হবে: পুতিন ও বাইডেন

কেন পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের প্রয়োজন হলো এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি যা বলতে চাই তা যেন সঠিকভাবে পুতিনের কাছে পৌঁছায় এবং আমার বক্তব্যের যেন কোনো ভুল ব্যাখ্যা না আসে সেজন্যই সরাসরি বৈঠক করে পুতিনকে জানিয়েছি। আমি আমাদের মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারগুলো পুতিনের কাছে সরাসরি উপস্থাপন করেছি। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেছি যার মাধ্যমে বিশ্বও লাভবান হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমি পুতিনের সঙ্গে তাই বলেছি যা আমি করতে এসেছি। বাইডেন আরো বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য আছে। কিন্তু কেন এবং সেগুলো কী সেটা আমি পুতিনকে বলেছি। আমি যা করছি তা কেন করছি সেই বিষয়টিও পুতিনকে জানিয়েছি। আমেরিকার স্বার্থে আঘাত আসলে আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া জানাব তাও পুতিনকে জানালাম।

তারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, আমি পুতিনের কাছে তালিকা দিয়েছি যাতে কোনোভাবেই এসব প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার ঘটনা না ঘটে। তালিকায় জ্বালানি থেকে পানি খাতও রয়েছে। আমি মনে করি না যে পুতিন ঠান্ডা যুদ্ধ চান। পুতিনের সঙ্গে নিজের বয়সের ১০ প্রজন্ম পার্থক্য বলেও বাইডেন বৈঠকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সাইবার সক্ষমতায় ৬০-এর দশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না বলে পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাইডেন। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।