বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতা-কর্মীদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বেশি করে বই পড়তে হবে। জিয়াউর রহমানকে জানতে হলে তার ওপর লেখা বই পড়তে হবে। আমাদের স্বাধীনতাকে জানতে হলে বই পড়তে হবে।
বুধবার (৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের নেতাকর্মীদের যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুদ্ধ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ এমনি এমনিই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবে না। এরা একেবারেই স্বৈরাচার বনে গেছে। নির্বাচন করে এরা কোনোদিন জিততে পারবে না, তাই নির্বাচন নিয়ে তামাশা করবে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদেরকে বিজয়ী করবে। এই সরকারকে হঠাতে শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই। একটা যুদ্ধ যখন করতে হবে, সেই যুদ্ধে আপনাকে জয়ী হতেই হবে।
বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের কথার কী উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে। কখন কী বলে না বলে, তারা নিজেরাও জানে না। তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা কথা প্রচার করতে করতে ওরা এখন জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা তো দূরের কথা, জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বানিয়েছেন। উনি (হাসান মাহমুদ) এমনভাবে কথা বলেন- জোরেও বলেন না, রাগ করেও বলেন না। ঠাণ্ডা মেজাজে কথা বলেন- শুনে মনে হয় সত্যি কথাই বলছেন। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও তারা ইতিহাসকে এভাবে বিকৃত করে চলেছেন।
তিনি বলেন,দেশে এখন করোনা আর আওয়ামী লীগ সরকার এই দুই দানব সকল কিছুকে তছনছ করে দিচ্ছে। ফলে আমরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। এটাকে জয় করতে হবে। এই জয় করেই এগিয়ে যেতে হবে।