বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা নেতা। জাতির সবচেয়ে সংকটের মুহূর্তে তিনি সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ১৯৭১ সালে তিনি (জিয়াউর রহমান) সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছিলেন এবং নিজে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। এর মধ্যদিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
ফখরুল বলেন, জাতিকে তিনি (জিয়াউর রহমান) বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। জাতির মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিলেন। একটি বিভক্ত জাতিকে তিনি একত্রিত করেছিলেন। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন বিপ্লব শুরু করেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছরে পুরো জাতিকে, সমগ্র বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আমরা আজকের এই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, আমাদের এই জাতি যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লড়াই করেছিল। আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে সেই উদার গণতান্ত্রিক যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, তাকে ধ্বংস করে দিয়ে আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছদ্মবেশে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।’
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসুন ১৯৭১ সালে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজ আবার লড়াই শুরু করি, সংগ্রাম শুরু করি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এ দেশের উদার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিচ্ছে। তারাই আজ সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই দেশকে নির্মাণের জন্য কখনোই কোনো শুভ কাজ করেনি। এ দেশের জন্য তারা কোনো ভালো কাজ করেনি। শুধু ধ্বংসই করেছে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।