A road removed the misery of millions of people of Phatikchari

ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি ও সুয়াবিল ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম রামগড় সেকশন-১ সড়ক। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সড়কটির নাজিরহাট-কাজিরহাট ১৬ কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে নাজকু অবস্থায় ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার করায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। সড়ক ভালো হওয়ায় কৃষিপণ্য সহজে পরিবহন করতে পারবেন কৃষকরা, এতে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।

জানা যায়, রামগড় সেকশন-১ সড়কটি চট্টগ্রাম শহর থেকে হাটহাজারী-ফটিকছড়ি উপজেলা হয়ে রামগড় পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল। সত্তর দশকে ফটিকছড়ি সদর দিয়ে ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক নির্মিত হলে রামগড় সড়কটি অবহেলিত হয়ে যায়। সে সময় স্থানীয় তিন ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়ে। ১৯৯৫ সালের দিকে সরকার জাইকার অর্থায়নে আন্তঃউপজেলা কানেকটিং-ভিটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে। কিন্তু গত ২৮ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় তিন ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তির অন্ত ছিল না। স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির নির্দেশে ফটিকছড়ি এলজিইডি অফিস ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় নাজিরহাট জিসি-কাজিরহাট জিসি সড়কটি ১৬ কিলোমিটার সংস্কার করে। তিনটি প্যাকেজে কাজ করা হয়।

প্রথম প্যাকেজে ৫ কিলোমিটার কাজ করে মেসার্স তাওয়াকুল এন্টারপ্রাইজ-সর্মিন জেভি। ব্যয় হয় ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কিলোমিটার কাজ করে মেসার্স মহসিন-এ হক জেভি। তৃতীয় প্যাকেজে ৬ কিলোমিটার কাজ করে এসএ-এসবি জেভি, ব্যয় হয় ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

সড়কটি সংস্কার হওয়ায় দারুণ খুশি হারুয়ালছড়ি ইউপির মো. সোহেল, ছাত্র এমরান, কৃষক মধু মিয়া, ভূজপুরের সমাজসেবক মুরাদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী রহিম উদ্দিন, আলী আবদুল্লাহ, সুয়াবিলের করিমসহ অনেকে। তারা বলেন, ‘অনেকদিন পর আমাদের চলাচলের একমাত্র মধ্যম নাজিরহাট-টু কাজিরহাট সড়কটি সংস্কার হওয়ায় আমরা বেশ উপকৃত হবো। এখন থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে সহজে যেতে পারবে। চট্টগ্রাম শহরে যেতে সমস্যা হচ্ছে না।’

হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ভুজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শাহজাহান চৌধুরী শিপন, সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান এম জয়নাল আবেদিন একই সুরে বলেন, ‘এমপির নির্দেশে এলজিইডি সড়কটি সংস্কার করায় আমাদের ইউনিয়নের লাখো মানুষ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন।’

ফটিকছড়ির এলজিইডি অফিসের স্থানীয় প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলনে, ‘সড়কটি সংস্কার হওয়ায় ফটিকছড়ির তিন ইউনিয়ন ছাড়াও হাটহাজারী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষও সুফল পাবেন।’