বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নূর’-এর ওটিটি অভিষেক



‘ডোন্ট বি অ্যান অ্যাপল’ লিখে একগুচ্ছ নতুন ছবি পোস্ট করেছেন উপমহাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। সেসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তার চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে বাঁকা হাসি। যেন ইঙ্গিতে দিচ্ছেন অন্য কোনো বার্তা। সঙ্গে যুক্ত করেছেন নার্গিসের গান ‘পিরিতের পেট্রোল ঢাইলে আগুন জ্বালাইসে গায় / সোনা বন্ধু কুনজাগায়…’
ছবিতে জয়াকে দেখা যাচ্ছে ব্লাউজ ও ডেনিম পরিহিতা। লাল ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে পরেছেন লাল টিপ। খোপায় লাল-সাদা ফুল। নিশ্চয়ই নতুন কোনো খবর অপেক্ষা করছে, যার শুরুটা এমন রোমান্টিক!
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি সিনেমা বেরিয়েছে অভিনেত্রীর। ঢাকায় ‘জয়া আর শারমিন’, ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘ফেরেশতে’ ছাড়াও কলকাতায় প্রশংসিত হয়েছে তার ‘ডিয়ার মা’ সিনেমাটি।
কদিন আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে সদ্যোজাত আটটি কুকুরছানাকে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে স্বর মিলিয়ে প্রতিবাদী হন ঢাকার তারকারাও।




২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে ফিফা। টুর্নামেন্টের সব ম্যাচের দুই অর্ধেই ৩ মিনিট করে থাকছে পানি পানের বিরতি। শুধুমাত্র আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে কিছু ম্যাচ বা ভেন্যুর জন্য এই সিদ্ধান্ত নয়। সব ম্যাচ ও ভেন্যুতেই থাকবে এই নিয়ম।
হাইড্রেশন বিরতিটি দেওয়া হবে প্রতি অর্ধেরই ২২ মিনিটে। আবহাওয়া যেমনই হোক, মাঠ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এই বিরতি পাবেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।
এই সিদ্ধান্ত সম্প্রচারকদের কাছেও জনপ্রিয় হতে পারে। কেননা, এর ফলে খেলার সময়সুচি আরোবেশি অনুমানযোগ্য হয়ে উঠবে। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রধান কর্মকর্তা মানোলো জুবিরিয়া সম্প্রচারকদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি প্রথমবার ঘোষণা দেন।
তিনি এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি ওই ২২ মিনিটের আশেপাশে সময়ে ইনজুরির কারণে the game থেমে গেলে সেক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হতে পারবেন রেফারি। সুবিরিয়া জানান, ‘এটি পরিস্থিতি অনুযায়ী রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন।’
গত বিশ্বকাপেও হাইড্রেশন বিরতি ছিল। তবে সেটি কেবল তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াম অতিক্রম করলে তখন দেওয়া হতো ৩০ মিনিট পর। এবারের পরিবর্তনটা আসার কারণ ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত তাপে মাঠের খেলায় কষ্ট করতে হয়েছিল খেলোয়াড়দের। সে টুর্নামেন্টে ফিফা ঠান্ডা বা পানি বিরতির তাপমাত্রা সীমা কমায় এবং মাঠের চারপাশে বেশি পানি ও তোয়ালে সরবরাহ করে।
ফুটবলের বড় আসরে অতিরিক্ত তাপ বহুদিন ধরেই সমস্যা। ২০১৪ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই উদ্বেগ তৈরি হলে ব্রাজিলীয় আদালত ফিফাকে হাইড্রেশন বিরতি বাধ্যতামূলক করতে আদেশ দিয়েছিল। নইলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হতো।

গোল না পেলেও আবারও ম্যাচের নায়ক নেইমার। প্লেমেকার হিসেবে দুর্দান্ত ভূমিকা রেখে সান্তোসকে এনে দিলেন দাপুটে জয়। ব্রাজিলিয়ান সেরি আ-র শেষ ম্যাচে ক্রুজেইরোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দারুণভাবেই লিগ শেষ করেছে সান্তোস। ম্যাচ শেষে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা নিশ্চিত করেছেন, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাকে।

অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্বকাপ হকিতে প্রথমবার অংশ নিয়েই ‘চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছে বাংলাদেশের যুবরা। ৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে এ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ যা নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। ম্যাচে হ্যাট্ট্রিক করেছেন অধিনায়ক আমিরুল ইসলাম।
ভারতের মাদুরাই ইন্টারন্যাশনাল হকি স্টেডিয়ামে ১৭তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ অস্ট্রিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রফি জিতে নেয় বাংলাদেশ। যুব বিশ্বকাপ হকিতে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হয়ে যাওয়া ৮ দলের মধ্যে হওয়া স্থান নির্ধারণী পর্বকে আন্তর্জাতিক হকি সংস্থা এবার আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জার ট্রফি নাম দিয়েছে। বাংলাদেশ এতে চ্যাম্পিয়ন হল।
জানা যায়, আমিরুল ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটি হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ১৮। এখন পর্যন্ত যুব হকি বিশ্বকাপে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। বিশ্বকাপ হকিতে আমিরুল তার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়েছেন।
ইউরোপের দল অস্ট্রিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালোই শুরু করেছিল। যদিও তারা গোল আদায় করতে পারেনি। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আমিরুল ইসলাম গোল করেন (১-০)। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এ গোলটি পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে করেন হুজায়ফা হুজায়ফা হোসেন।
২-০ ব্যবধান নিয়ে বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে ফেরে। তৃতীয় কোয়ার্টারের চতুর্থ মিনিটে রাকিবুল হাসান রকির ফিল্ড গোলে বাংলাদেশ ৩-০ লিড পায়। এ কোয়ার্টারে বাংলাদেশ আরেকটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও গোল পায়নি। ৪৪ মিনিটে অস্ট্রিয়া ফিল্ড গোল করে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে (১-৩)। চতুর্থ কোয়ার্টারে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে আমিরুল গোল করলে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জার ট্রফি জয়ের সুবাস পেতে থাকে (৪-১)। পরের মিনিটে অস্ট্রিয়া এগিয়ে যায় (২-৪)।
৫২ মিনিটে আমিরুল পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (৫-২)। তবে ৫৭ মিনিটে আরেকটি গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি অস্ট্রিয়া। শেষে ৫-৩ গোলের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। যুব হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এটি টানা তৃতীয় জয়। বাংলাদেশ যুব হকিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। প্রথম ম্যাচে আমিরুলের হ্যাটট্রিকে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-৫ গোলে পরাজিত হয়। পরের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আমিরুলের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৩-৩ গোলে ড্র করে।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে গত আসরের রানার্স আপ ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-৩ গোলে পরাজিত হয়। ওই ম্যাচেও আমিরুল এক গোল করে। গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশ শীর্ষ ষোলোতে যেতে পারেনি। এজন্য ১৭-২৪তম স্থান নির্ধারণী খেলতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই ওমানের বিপক্ষে ১৩-০ গোলে জয়লাভ করে। এ ম্যাচে আমিরুল করেন পাচ গোল। পরের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-৩ গোলে হারায়। ঐ ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেন আমিরুল। এদিন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ছিল স্থান নির্ধারণীর শিরোপা লড়াই। এ ম্যাচেও আমিরুল হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। যা বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্যই।

ড্র ও হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। নবনির্মিত ক্যাম্প ন্যুতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। একপেশে ম্যাচে একপর্যায়ে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে দলকে উল্টো জয়ের স্বাদ দেন ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে।
ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদেরই। বার্সেলোনা পুরো ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখে নেয় ১৯টি শট, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ফ্রাঙ্কফুর্ট ৬ শটের মধ্যে ৪টি অন-টার্গেট রাখতে সক্ষম হয়।
ম্যাচের শুরুতেই বার্সা গোলের সুযোগ পায়। কুন্দের হেড থেকে আসা বলে ভলিতে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি। কিছুক্ষণ পর তার করা গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। খেলার ধারার বিপরীতে ২১ মিনিটে আন্সগার কেনাউফের দৌড়ের ওপর নেওয়া শটে লিড নেয় ফ্রাঙ্কফুর্ট।
বিরতির আগে আর জালের দেখা পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচের গতি বদলে দেন বদলি মার্কাস রাশফোর্ড। তার তৈরি করা আক্রমণ থেকেই ৫০ মিনিটে রাশফোর্ডের ক্রসে হেডে সমতা ফেরান কুন্দে। তিন মিনিট পর লামিনে ইয়ামালের ক্রসে আবারও হেডে গোল করে বার্সাকে লিড এনে দেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
শেষ সময়ে বল দখলে রাখায় মনোযোগী ছিল বার্সা। আর কোনো গোল না হলেও কুন্দের জোড়া গোলেই দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে কাতালানরা।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬ ম্যাচে ৩ জয়, ১ ড্র ও ২ হারে বার্সেলোনার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। তারা অবস্থান করছে টেবিলের ১৪ নম্বরে। ফ্রাঙ্কফুর্ট ৩০ নম্বরে নেমে চতুর্থ হার দেখলো।

ঘরোয়া লিগে টানা ব্যর্থতার পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও হতাশার রাত কাটাল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লিগ পর্বের ম্যাচে জাবি আলোনসোর দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই পরাজয়ে কোচ আলোনসোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
লা লিগায় ধারাবাহিক পয়েন্ট হারানোর চাপের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নেমেছিল রিয়াল। সমস্যাটা আরও বড় হয় একাধিক তারকার অনুপস্থিতিতে চোটের কারণে দানি কারভাহাল, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড ও এদের মিলিতাও ছিলেন বাইরে। পুরো ফিট না থাকায় বেঞ্চে বসে ম্যাচ দেখেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে শুরুটা ভালোই করেছিল স্বাগতিকরা। ২৮ মিনিটে জুড বেলিংহামের পাস ধরে দারুণ শটে রদ্রিগো দলকে এগিয়ে নেন এটাই চলতি মৌসুমে উইঙ্গারের প্রথম গোল। কিন্তু মাত্র সাত মিনিট পর থিবো কোর্তোয়ার দুর্বল সেভ কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরান নিকো ও’রিলি। এরপর ৪৩ মিনিটে অ্যান্টনিও রুডিগারের ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টি নিখুঁতভাবে কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নেন আর্লিং হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল চেষ্টা করলেও ব্যবধান আর কমাতে পারেনি। উল্টো কোর্তোয়া ছয়টি সেভ করে দলকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচান। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি।
এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চারে উঠেছে সিটি। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ নেমে গেছে সপ্তম স্থানে।