৫৬০ মডেল মসজিদের মধ্যে অর্ধশত উদ্বোধন আজ

শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মসজিদ ব্যবহার করা মুসলিমদের ঐতিহ্য। যদিও মসজিদগুলো এখন ব্যবহূত হয় শুধু নামাজের জন্যই। সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার।

এর মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৫০টি মডেল মসজিদ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে সাফল্যের মুখ দেখবে ইসলাম চর্চায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগ। এটাই হচ্ছে বিশ্বে প্রথম কোনো সরকারের একই সময়ে এত বিপুলসংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে ইসলামকে পুরোপুরি জানার ফলে ধর্মান্ধতা, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলেম-ওলামারা।

আরব বিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষের আলাদা অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষাকেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে। ৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে এই মসজিদগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে চারতলা, উপজেলার জন্য তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

‘ইসলামবিরোধী’ তকমা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সব সময় কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করে বিশেষ একটি গোষ্ঠী। ভোটের সময় এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে বিরোধী পক্ষ। যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, এসব অপবাদের জবাব তারা প্রচারসর্বস্ব না হয়ে কাজের মাধ্যমেই দেবেন। আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাবলিগ জামাতের জন্য কাকরাইলে মসজিদ ও টঙ্গীতে ইজতেমার জায়গা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসাশিক্ষার প্রসারে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কওমি মাদ্রাসার সনদ দিয়েছেন, আলিয়া মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন।