২২ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

২২ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধান খড়ের মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ গভীর একটি গর্তে পড়ে যায় সে। মাত্র ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সেই অন্ধকার গর্তে পড়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরানো ছাড়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছোট্ট সাজিদকে উদ্ধারে এক্সকাভেটরের খোঁজ করা হচ্ছিল। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকাভেটর পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি পুরো তানোর উপজেলায় খোঁজ করেও কোনো এক্সকাভেটর পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত ৮টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে ছোট্ট দুটি এক্সকাভেটর এনে মাটি খননকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

স্থানীয়রা বলেন, শিশুটি বুধবার দুপুর ১টার দিকে গর্তে পড়ে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে এক্সকাভেটর আসতে আসতে রাত ৮টা বেজে যায়।

স্থানীয় রাইসুল নামে একজন বলেন, ছোট দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু শুরুতেই যদি বড় এক্সাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা যেত তাহলে হয়তো দ্রুতই উদ্ধারকাজ শেষ করতে পারতো উদ্ধার কর্মীরা।

তানোর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর রউফ বলেন, প্রথমে আমরা তানোর উপজেলায় খোঁজ করেছি, কোথাও এক্সকাভেটর পাইনি। পরে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে এসে মাটি খননের কাজ শুরু করি। এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে আরেকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকাভেটর ঘটনাস্থলে আসে। সেটি দিয়ে দ্রুত মাটি খননকাজ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

সকাল নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিব সংকর বসাক জানান, গতকাল দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক্তার।

image_pdfimage_print