২০ দিন নির্বাক থাকা আরমানের মৃত্যু

মো. আরমান শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের বরনল গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের জামান ফ্যাশন কারখানায় দুই মাস ধরে চাকরি করছিলেন।

আরমানের বড় ভাই মো. মাসুদ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নাই। মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৭-৮ লাখ টাকা খরচ করেছি চিকিৎসার জন্য। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। আমরা কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ করব না।’

এদিকে আহত ব্যক্তিদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবার ২০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। এ বিষয়ে মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আমরা ১০ হাজার টাকা পাইনি। সময়মতো কাউকে পাশে পাইনি। এখন আর টাকা দিয়ে কী হবে? এখন আর টাকার দরকার নেই আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তাঁর ভাই আরমান। তখন থেকেই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। টানা ২০ দিন তাঁর ভাইয়ের চিকিৎসা চলে। এ সময়ের মধ্যে তাঁর ভাই কোনো কথা বলতে পারেননি। মাঝেমধ্যে চোখ খুলেছেন। অবশেষে রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুর্ঘটনায় তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছিল। মাথায় বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আরমান নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তাঁর পরিবারের কাছে দাফন-কাফনের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হবে। আহত অবস্থায় ১০ হাজার টাকা না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক যারা যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে।

image_pdfimage_print